মাধবপুর (হবিগঞ্জ) ১১ মে : মাধবপুরে ৫টি শিয়াল শাবককে ধান কাটার হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে তা বণ্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নজরে আসে। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতছড়ি তেলমাছড়া বন বিভাগের লোকজনসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাতপাড়িয়া মাঠে একটি ধান ক্ষেতে একদল বন্য শিয়াল ১০টি বাচ্চা প্রসব করে। বুধবার দুপুরে হারর্ভেস্টার মেশিন দিয়ে স্থানীয় এক লোক ধান ক্ষেতে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার মেশিনের শব্দ পেয়ে গর্ত থেকে শিয়ালের দল পালিয়ে যায়। মাঠে উপস্থিত লোকজন শিয়াল মারতে লাঠিসোটা নিয়ে ধান ক্ষেত ঘেরাও করে। ভয়ে ১০টি শিয়াল শাবক গর্তে আশ্রয় নেয়। এসময় ৫টি শিয়াল শাবক কোন রকমে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পায়। গর্তে আশ্রয় নেয়া ৫টি শিয়াল শবকে ধরে হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে হত্যা করে এরা। পরে অতি উৎসাহী কিছুলোক শিয়ালের মরদেহ নিয়ে উল্লাস করে।
পাখি প্রেমিক সোসাইটির আহবায়ক মুজাহিদ মসি বলেন, বন্যপ্রানী হত্যা যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে হয় তবে এটা অমার্জনীয় অপরাধ। শিয়াল শাবকদের মেরে ফেলা বন্য প্রাণী হত্যার শামিল। বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ তেলমাছড়া বিট অফিসার হাবিবউল্লা বলেন, নৃশংসভাবে বন্য প্রাণী ৫টি শিয়াল শাবক মেরে ফেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ। কেন কি উদ্দেশ্যে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বনকর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটি নৃশংস ও অমানবিক কাজ। ইচ্ছাকৃতভাবে শিয়াল শাবককে হত্যা করা হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan