প্রধান অতিথি রোকেয়া হায়দার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভুতের গল্প আমার খুবই প্রিয়। সামছুদ্দীন মাহমুদের এই গল্পগুলি জীবন থেকে নেয়া। এই বইগুলোতে এমেরিকান জীবনধারার অনেক কিছুই উঠে এসেছে, যা হয়ত বাংলাদেশে থাকলে কল্পনাও করা যেতো না। একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হয়েও সাহিত্যের একেবারে উচ্চমার্গে যাকে আমরা বাস্তবধর্মী গল্প রচনাতে হাত দেওয়ায় তিনি লেখকের প্রচুর প্রশংসা করেন। তিনি লেখকের নতুন বইয়ের একটি গল্প ”ডরোথি ম্যাকগ্রা” নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, এই গল্পটি পড়ার পর আমি ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারিনা। এই বয়সেও আমাকে কেন জানি লেখকের গল্পের ভুত ঘাড় মটকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। তিনি এ লেখালেখি চালিয়ে নেওয়ার জন্য লেখক সামছুদ্দীন মাহমুদের প্রতি আহবান জানান।
সরকার কবির উদ্দিন বলেন, কয়ের বছর আগে সামছুদ্দীন মাহমুদের দুটি বই প্রকাশনা উৎসবে আমি এসেছিলাম। তার বইগুলির মধ্যে বাংলার সোদা মাটির গন্ধ পাচ্ছি । লেখক আমাদের চারপাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুতরুপী চরিত্রগুলিকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, যেকোন লেখক তার সমাজ কৃষ্টি কালচালার এর প্রতি দায়বদ্ধ। তিনি লেখক সামছুদ্দীন মাহমুদ এর মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা পুরোপুরি দেখতে পান। আমাদের সমাজের চারপাশের ঘটনাগুলিকেই তিনি সুন্দর ভাবে তার গল্পে তুলে ধরেন।

ডঃ আনোয়র করিম বলেন, লেখক সামছুদ্দীন মাহমুদ এর আগের দুটি বই ও আমি পড়েছিলাম। এবং আমি ঔ বইগুলির একটি বিশাল রিভিও লেখেছিলাম। এই বইটিরও একটি রিভিও লেখবো। তিনি লেখককে লেখালেখি আরো এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।
প্রফেসর ডঃ ফয়সাল কাদের বলেন, লেখক সামছুদ্দীন মাহমুদ আমার বন্ধু। আমি তাকে নিয়ে গর্ব করি। সে একজন বড় সংগঠকও বটে এবং আমাদের নেতা। এতো সামাজিক দায়বদ্ধতার পরেও সাহিত্যের মতো এতো কঠিন বিষয় কিভাবে সে চর্চা করে তা আমার বোদগম্য নয়। মার্কিন দেশে বসবাস করে এতো কিছু করে, তিনি যে গল্পগুলি লিখেছেন তাতে তাকে অভিবাদন জানাতেই হয়।
ডেমোক্রেট নেতা ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক শরাফত হোসেন বাবু বলেন, সামছুদ্দীন মাহমুদ কেবল নেতা নয়, নেতাদের নেতা।তার সাথে একুশে এলায়েন্স সহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করার প্রেক্ষিতে তার যে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় পেয়েছি। তাই তাকে কেবল নেতা নয়, নেতাদের নেতা বলায় সমীচিন। কিন্তু আজ এসে নেতার বাইরে একজন বিশেষ লেখক হিসাবে তার পরিচয় পেলাম। অনেকে লেখক হয়েছেন কেবল ভ্রমন কাহিনি বা জীবনি লিখে। কিন্তু সামছুদ্দীন মাহমুদ সাহিত্যের একেবারে গভীরে, ভুতের গল্প লিখেছেন। তিনি কবিতা লেখেন, গল্প লেখেন, প্রবন্ধ লেখেন, সাহিত্যের সবক্ষেত্রেই তার পদচারনা। তাকে শুধু অভিবাদন জানিয়ে শেষ করতে চাইনা, সবসময়ের জন্য তার পাশে থাকতে চাই।
স্যাম রিয়া বলেন, লেখক এর প্রত্যেকটি গল্পই আমি পড়েছি, যা শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না। এখানেই লেখকের স্বার্থকতা। সে কেবল একজন ভালো লেখকই নয়, ভালো স্বামী ও দায়িত্বশীল পিতা ও বটে। তাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। প্রকাশনা উৎসবে সবার সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানা্ন।
ডঃ নজরুল ইসলাম বলেন, লেখক আমার ছোট ভাইয়ের মতো। তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত।
নিক রোয়ান বলেন, আমি তার প্রথম বইটি জবা নামের মেয়েটি পড়েছি, এই জন্য এসেছি। আশা করি এই বইতেও অভুতপুর্ব কিছু পাব যেরকম আগের বইতে পেয়েছিলাম।
মিজানুর রহমান বলেন, আমি সেই ম্যারিল্যান্ড থেকে এসেছি, লেখকের প্রত্যেকটি বই কিনছি। এর মধ্যে তার ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি লেখকের সফলতা কামনা করেন।
লেখকের জন্য কেক নিয়ে আসেন ফিরোজ আহমেদ ও পারভীন ফিরোজ দম্পতি। ফুলে নিয়ে আসেন সরকার কবিরুদ্দীন ও নিশাত কবির দম্পতি । এরপর কেক কেটে লেখকের প্রকাশনা উৎসব উদযাপন করা হয়। সবশেষে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন সরকার কবীর উদ্দিন, রোকেয়া হায়দার সহ অন্যান্যরা।