হবিগঞ্জ,১৬ জুন : ঢাকা থেকে হবিগঞ্জে ফেরার পথে চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটে রবিবার দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হলেও অভিযুক্ত হেলপার পলাতক রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মরত এবং পাশাপাশি একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। রাজধানী থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তিনি বাসে ঘুমিয়ে পড়েন এবং গন্তব্য না নেমে সিলেট পৌঁছে যান। সেখান থেকে হবিগঞ্জ আসার জন্য ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি লোকাল বাসে ওঠেন।
বাসটি শেরপুর অতিক্রম করার পর অধিকাংশ যাত্রী নেমে গেলে, কিশোরী একা হয়ে পড়েন। এই সুযোগে বাস চালক সাব্বির ও হেলপার লিটন মিয়া তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দিলে ছালামতপুর এলাকায় টহল টিম বাসটি আটক করে এবং কিশোরীকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চালক সাব্বিরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা গেলেও হেলপার লিটন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কিশোরীর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, “এই নির্মম ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত চালক আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি লিটনের গ্রেপ্তারে সাড়াশি অভিযান চলছে।”
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, “ভিকটিম বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” এই ঘটনায় নারী ও শিশুর নিরাপত্তা প্রশ্নে আবারো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যাত্রীবাহী বাসে একা নারী বা কিশোরীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে দিয়েছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan