ঢাকা, ২৭ জুন : গত বুধবার বারিধারার অ্যাসকট দ্য রেসিডেন্স-এ ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইবিএফসিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক রচিত হলো। বাণিজ্য, কূটনীতি এবং উন্নয়নের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
ইবিএফসিআই সভাপতি ড. ওয়ালি তাসার উদ্দিন এমবিই, ডিবিএ, জেপি তার মূল বক্তব্যে জানান, বিডা এবং আরজেএসসিতে সংগঠনের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংগঠনটি এখন পূর্ণ কার্যকারিতা অর্জন করেছে। তিনি নবনিযুক্ত বাংলাদেশ টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এটি কেবল একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা নয়, বরং ইউরোপ ও বাংলাদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের এক নতুন দিগন্ত।”
বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কান্ট্রি হেড মুহাম্মদ আলী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিভা ও শিল্প খাতগুলিকে বৈশ্বিক সক্ষমতার সাথে সমন্বয় করে তৈরি পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটনের মতো খাতগুলোকে টেকসই করে তোলা।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি-এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, যিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সহযোগিতার লক্ষ্যে ইবিএফসিআই-এর ভিশনের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি পারস্পরিক স্বার্থে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে সহযোগিতার আগ্রহও প্রকাশ করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার ইবিএফসিআই-এর উদ্যোগকে ইউরোপ ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সেতুবন্ধন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “উদ্ভাবন, সবুজ অর্থনীতি ও মানব পুঁজি উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ সিয়াম বলেন, “রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, এনআরবি সম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ইবিএফসিআই আমাদের কৌশলগত অংশীদার হতে পারে।”
ইবিএফসিআই-এর পরিচালক সামি সানাউল্লাহ উপস্থাপনায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি ওষুধ, পাট, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে ডিজিটাল পরিষেবা, জৈবপ্রযুক্তি ও হালাল অর্থনীতির মত খাতে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও উপস্থাপনায় ইবিএফসিআই-এর কর্মকাণ্ড এবং সীমান্তপার অংশীদারিত্বে এর ভূমিকাও প্রদর্শন করা হয়।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ইবিএফসিআই বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত জান্নাতুল ফেরদৌস নিপা, মাকসুদা খান মিশা, এমডি সালাউদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ জামিল উর রব, সুকান্ত কাশারী, আরিফ আর হুসেন এবং গাজী মামুনুর রশিদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক দীপ্তি চৌধুরী, যিনি একইসঙ্গে ইবিএফসিআই বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan