ম্যাকম্ব কাউন্টি, ৩ জুলাই : এই গ্রীষ্মে মশার মধ্যে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রথম কেস পাওয়া গেছে বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন। ম্যাকম্ব কাউন্টিতে সংগৃহীত একক মশার নমুনায় ভাইরাসটি সনাক্ত হলেও এখনও পর্যন্ত মিশিগানে ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও নিশ্চিত মানব কেস ধরা পড়েনি।
মিশিগান স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ জুন পর্যন্ত সাগিনাউ কাউন্টির একটি পাখি এবং বে ও মিডল্যান্ড কাউন্টির দুটি মশার পুলেও ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।
ম্যাকম্ব কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে স্থানীয় মশার জনসংখ্যায় নিয়মিত এই রোগের উপস্থিতি নজরদারি করা হয়। মশার পুল নিয়মিত পরীক্ষা করে বসন্ত ও গ্রীষ্মকাল জুড়ে ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করার কাজ চলছে।
ভাইরাসটি সংক্রামিত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ভাইরাসে আক্রান্ত পাখিকে কামড়ালে মশা সংক্রমিত হয়। অধিকাংশ সংক্রামিত ব্যক্তি হালকা অসুস্থতা যেমন জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীর ব্যথা অনুভব করলেও কিছু ক্ষেত্রে এনসেফালাইটিস ও মেনিনজাইটিসের মতো গুরুতর মস্তিষ্কজনিত রোগ হতে পারে।
বিশেষ করে ৫০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ কিছু রোগে আক্রান্ত ও অঙ্গ প্রতিস্থাপিত ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি।
ম্যাকম্ব কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগ বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, এই গ্রীষ্মে মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে যথাযথ পোশাক পরিধান, পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বাইরে কম যাওয়া এবং জমা জল পরিষ্কার রাখা জরুরি।
“আমাদের নজরদারি দলের এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দেখায়, এই মরসুমের মশারা এখন ভাইরাস বহন করছে যা মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে,” বলেছেন ম্যাকম্ব কাউন্টি হেলথ অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসেসের পরিচালক অ্যান্ড্রু কক্স। “আমরা সকলকে মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত বছর মিশিগানে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়ে, যার মধ্যে ডেট্রয়েটে একটি মৃত পাখির দেহেও ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। এছাড়াও, ওয়াশটেনাও কাউন্টির মশার নমুনা এবং ইটন কাউন্টির একটি ঘোড়ার মধ্যে ভাইরাস পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালে রাজ্যে ৩১ জন বাসিন্দার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছিল।
Source : http://detroitnews.com
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan