বাম থেকে ডানে : হ্যামট্রাম্যাক সিটি নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী — খান হোসেন, মুহিত মাহমুদ, আদম আলহারবি এবং মিস্টার বাংলাদেশ। প্রাইমারী ভোটে আলহারবি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন।
হ্যামট্রাম্যাক, ৬ আগস্ট : গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হ্যামট্রাম্যাক সিটি নির্বাচনের প্রাইমারী পর্বে মেয়র ও সিটি কাউন্সিল সদস্য পদের জন্য প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের চিত্র উঠে এসেছে।
সিটি ক্লার্ক রানা ফারাজের অফিস থেকে প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, মেয়র পদে ইয়েমেনি-আমেরিকান কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট এবং প্রাক্তন মেয়র গালিবের প্রচার ব্যবস্থাপক আদম আলহারবি ৫৩.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন।
মেয়র পদে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মুহিত মাহমুদ, যিনি ২৮.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্টেলান্টিস কর্মী এবং বাংলাদেশি-আমেরিকান খান হোসেন (১৩ শতাংশ)। অন্য প্রার্থী মিস্টার বাংলাদেশ পেয়েছেন ২.৮ শতাংশ ভোট।
মুহিত মাহমুদের বিরুদ্ধে ট্রয় শহরে বসবাসের অভিযোগ থাকলেও তিনি তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে আমি মিথ্যাবাদী ছিলাম না। মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে, এবং তারা বেরিয়ে এসে আমাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”
অন্যদিকে, বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আদম আলহারবি বলেন, “শুধু একটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে নয়, বরং হ্যামট্রাম্যাকের সব সম্প্রদায়ের কাছ থেকেই আমি সমর্থন পেয়েছি। এটি প্রমাণ করে শহরটি ঐক্য চায় এবং এমন কাউকে চায়, যে হ্যামট্রাম্যাকে বেড়ে উঠেছে এবং এখানেই বাস করে।”
বর্তমান মেয়র আমির গালিব এবার নির্বাচনে অংশ নেননি, কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক কুয়েতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কাউন্সিলম্যান পদে ভোটারদের আগ্রহ ও প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে শীর্ষ ৯ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন শেষপর্যন্ত কাউন্সিলের আসন লাভ করবেন।
প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান কাউন্সিল সদস্য আবু মুসা, যিনি পেয়েছেন ১২.৫% ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন কাউন্সিল সদস্য নাঈম চৌধুরী পেয়েছেন ১১.৬%।
এরপরের অবস্থানে রয়েছেন নগর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ইউসুফ সাঈদ (১০.১%), সম্পত্তি ব্যবসায়ী মোতাহার ফাদেল (৯.৯%), রাজনৈতিক উপদেষ্টা আব্দুলমালিক কাসিম (৯%) এবং ক্যাটারিং ব্যবসায়ী লুকমান সালেহ (৯%) — যিনি কাসিমের থেকে মাত্র দুই ভোট পিছিয়ে রয়েছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একমাত্র নারী প্রার্থী ডায়ান এলিজাবেথ ফ্রাকান পেয়েছেন ৮.৩% ভোট। প্রাক্তন কাউন্সিল সদস্য জো স্ট্রজালকা পেয়েছেন ৮%, এবং সিটি বোর্ড অফ রিভিউ সদস্য রেজাউল চৌধুরী পেয়েছেন ৭.২% ভোট।
এদিকে, অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য রাস গর্ডন পেয়েছেন ৭%, খালিদ আল কাসাইমি পেয়েছেন ৪.৫%, এবং ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান পেয়েছেন ২.৪% ভোট।
ফলাফল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফায়েড হয়নি। তবে এই ফলাফল অনুযায়ী নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটের হালচাল আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Source & Photo: http://detroitnews.com
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan