উৎসবমুখর পরিবেশে ভরে ওঠে হ্যামট্রাম্যাক শহর। দ্বিতীয় দিন শনিবার সন্ধ্যার পর জোসেফ ক্যাম্পু অ্যাভিনিউতে নামে জনস্রোত। বলা যায়, তিল ধারণের জায়গা ছিল না। চারপাশের সড়কগুলোতে লেগে যায় যানজট, আর মেলার ভেতর ও বাইরের প্রতিটি স্টল হয়ে ওঠে দর্শনার্থীদের আড্ডা, কেনাকাটা ও স্বাদের ঠিকানা।

মেলায় পণ্যের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি খাবারের স্টলগুলোতেও ছিল সমান ভিড়। অনেকেই স্বদেশি ফুচকা, চটপটি, কাবাবের স্বাদ নিতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের হাসি-আনন্দে মুখরিত ছিল গোটা এলাকা।

শনিবার রাতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মঞ্চ মাতান নিউইয়র্ক থেকে আগত শিল্পী মেহা, ফৌজিয়া মম, রিজিয়া পরভিন, পারভেজ সাজ্জাদ এবং শিলা সূত্রধর। উপস্থাপনায় ছিলেন শারমীনা সিরাজ সোনিয়া, যিনি প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় দর্শকদের মুগ্ধ রাখেন পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে।
আজ রবিবার মেলার শেষ দিন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, সমাপনী দিনকে ঘিরে প্রস্তুতি ও আগ্রহ দুটোই শীর্ষে। শেষ দিনের প্রধান আকর্ষণ বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ‘নগর বাউল’ জেমসের পরিবেশনা। এছাড়াও মিশিগানের জনপ্রিয় ব্যান্ড রিদম অব বাংলাদেশ এবং দেশ-বিদেশের আরও বহু গুণী শিল্পী অংশ নেবেন।

মেলা আয়োজক কমিটির প্রত্যাশা, শেষ দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। শুধু মিশিগান নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ও কানাডার বিভিন্ন শহর থেকেও আসবেন অনেকে। তারা আশা করছেন, এই উৎসব শুধু বিনোদন নয়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ঐক্য, সংস্কৃতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর করবে।