ঢাকা, ২১ আগস্ট : রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে ব্যবহৃত ১০টি চাকা ‘চুরি করে’ অন্য একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিমানেরই দুই কর্মীর জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। চাকাগুলোর বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশে থাকা ‘অকশন শেড’ থেকে বিমানের ১০টি ‘আনসার্ভিসেবল টায়ার’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন ১৯ আগস্ট থানায় জিডি দায়ের করেন। সেখানে চুরি শব্দটি ব্যবহার না করে উল্লেখ করা হয়েছে যে চাকাগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে জিডিতে বলা হয়েছে, চাকা না পাওয়ায় বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা স্বীকার করেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দেশের একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার এক কর্মকর্তাকে চাকাগুলো ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, একেকটি চাকাই ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলারের মধ্যে বিক্রি হয়। সেই হিসাবে ১০টি চাকায় প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এগুলো ব্যবহারের পর অকশন শেডে রাখা হয়েছিল। বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এটি একটি গুরুতর অপরাধ। অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে।”
বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার জানান, বিমানের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজের চাকা সংক্রান্ত জিডি করা হয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। অভিযুক্ত দুই কর্মী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাকাগুলো অন্য সংস্থাকে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিমানের একাধিক উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এর মধ্যেই কোটি টাকার চাকা চুরির ঘটনা রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সটির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan