ছবি ঢাকা পোস্টের সৌজন্যে
রাজবাড়ী, ৫ সেপ্টেম্বর : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা নামে এক ব্যক্তির দাফন নিয়ে তীব্র সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের কিছু পর ক্ষুব্ধ জনতা তার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সহিংসতায় তাদের দুটি পিকআপ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে, ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তারা অভিযোগ করে, নুরাল পাগলাকে শরিয়ত পরিপন্থী পদ্ধতিতে দাফন করা হয়েছে এবং তার কবর কাবা শরিফের আদলে ১২ ফুট উঁচুতে তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদেই জনতা দরবারে হামলা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, আশির দশকের শেষ দিকে নুরাল পাগলা নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করলে এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে তিনি এলাকা ছেড়ে গেলেও আবার ফিরে এসে দরবার শরিফ চালু করেন। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হলে ভক্তরা বিশেষ কায়দায় তাকে দাফন করে, যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মারুফ জানান, সংঘর্ষে আহত ২২ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ১৯ জনকে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, উত্তেজিত জনতা দরবারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। অনেকে আহত হলেও এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan