সভায় বক্তব্য রাখেন শাহ মো: আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন আহম্মেদ, অধীর চন্দ, মো: মুজিবুর রহমান, বাবুল চৌধুরী, মঈন চৌধুরী শাম্মু, আরশাদুর রহমান, হাদি চৌধুরী, সুভাস শীল, আখলাকুল আম্বিয়া, শফিকুর রহমান চৌধুরী, চিন্ময় আচার্য্য, হরলাল দাস, প্রশান্ত কুমার পাল, রঞ্জিত কুমার এন্দ, মো: নিয়াজুল আজিজ জাবেদ প্রমুখ।
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পর সভায় কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংগঠনের বার্ষিক চাঁদা ৫০ ডলার এবং আজীবন চাঁদা ২০০ ডলার নির্ধারণ। পাশাপাশি আজীবন সদস্যদের জন্যও প্রতিবছর বার্ষিক চাঁদা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে করে সংগঠনের আর্থিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয়। এছাড়াও সভায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হয়, যা সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।

প্রবাসে বসেও যে মানুষ নিজের আদি নিবাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকতে পারে, সভাটি যেন তারই প্রমাণ। শুধু সাংগঠনিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, এই সভা পরিণত হয়েছিল প্রবাসী হবিগঞ্জবাসীদের এক অনন্য মিলনমেলায়। সভায় অতীতের স্মৃতি, বর্তমানের দায়বদ্ধতা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনাসবকিছুরই ছোঁয়া ছিল।
সভাশেষে দুপুরের খাবারের আয়োজন ছিল, যা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। এক টেবিলে বসে খাবার ভাগাভাগি করার মধ্য দিয়ে যেন প্রবাসীরা খুঁজে পেলেন শেকড়ের টান, আপনজনের উষ্ণতা এবং ভবিষ্যতের পথচলার প্রেরণা।