ওয়ারেনের আইওএনএ মসজিদের দেয়াল ভাঙচুরের দৃশ্য/Dawud Walid
ওয়ারেন, ১০ সেপ্টেম্বর : সপ্তাহান্তে ওয়ারেন শহরের একটি মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় মুসলিম নেতারা সম্ভাব্য ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে দেখছেন। রায়ান রোডে অবস্থিত ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ নর্থ আমেরিকা (আইওএনএ)-এর সভাপতি স্টিভ এলটার্ক জানান, ভাঙচুরকারীরা ভবনে প্রবেশ করে দেয়াল ও জানালা ভেঙে ফেলে এবং চলমান সম্প্রসারণ প্রকল্পের মেঝে ও সরঞ্জামে স্প্রে-পেইন্ট করে অস্পষ্ট বার্তা লিখে যায়। তিনি বলেন, “আমার মাথায় প্রশ্ন আসে—এটি কি মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার কারণে, নাকি পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রভাবে অজ্ঞ লোকদের কাজ?”
ওয়ারেন পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে এবং গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর-এমআই) গ্রেপ্তার ও দোষী সাব্যস্তের তথ্যের বিনিময়ে এক হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক দাউদ ওয়ালিদ, যিনি আইওএনএ মসজিদের একজন নিয়মিত ইমামও, জানিয়েছেন—ভাঙচুরকারীরা প্রায় ১০,০০০ বর্গফুট এলাকার একটি ক্যাটারপিলার মেশিনে “সমকামী” শব্দটি এবং মেঝেতে “ভালোবাসা” শব্দটি স্প্রে-পেইন্ট করেছে। ওয়ালিদ বলেন, “এটা অদ্ভুত। সরাসরি মুসলিম-বিরোধী কিছু নয়, কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, এই মসজিদ আগেও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে, নেতাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
নেতারা জানান, প্রায় ২০ বছর আগে মসজিদ খোলার সময় স্থানীয় সমাজের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্পর্ক মোটামুটি ইতিবাচক ছিল। এলটার্ক বলেন, “বছরের পর বছর সব ঠিকঠাক ছিল, তারপর হঠাৎ এমন ঘটনা।” তিনি আরও জানান, সম্প্রসারণ প্রকল্পের কারণে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ক্যামেরা সরানো হয়েছিল। তবে এখন আবার ক্যামেরা বসানো হবে।
মসজিদের নেতাদের মতে, ভাঙচুরে কয়েক হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছে। তবে আর্থিক ক্ষতির চেয়ে তারা বেশি চিন্তিত ঘটনাটির সম্ভাব্য ঘৃণা-প্রসূত দিক নিয়ে। ওয়ালিদ বলেন, “সর্বোচ্চ পর্যায়ে এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা, আর সবচেয়ে খারাপ হলো এটি মুসলিম-বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।”
Source & Photo: http://detroitnews.com
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan