ডেট্রয়েট, ১৬ সেপ্টেম্বর : গত এপ্রিলে ডেট্রয়েটে একটি জ্বলন্ত এসইউভি থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন এডওয়ার্ড ডেলোরিয়ান রেডিং (৩০), সোমবার ফেডারেল বন্দুক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ অপরাধে তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আগামী ১৩ জানুয়ারি মার্কিন জেলা বিচারক রবার্ট হোয়াইট তার সাজা ঘোষণা করবেন। রেডিংয়ের আইনজীবী ন্যান্সি ম্যাকগান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তদন্তে উঠে এসেছে—রেডিং তার প্রাক্তন বান্ধবী কোর্টনি ডেভিস (২৩), তার মা স্যান্ড্রা ডেভিস (৪৪) এবং ভাগ্নি আইভা সাটনকে (৯) হত্যা করে। প্রাক্তন বান্ধবী ও তার মাকে গুলি করে এবং শিশুটিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার পর তাদের মরদেহ একটি এসইউভিতে তুলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ডেট্রয়েটের বক্সউড ও উড্রোর মধ্যবর্তী একটি গলিতে জ্বলন্ত গাড়ি থেকে তাদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। রেডিংয়ের দীর্ঘ অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। ওয়েইন কাউন্টিতে তার বিরুদ্ধে গাড়ি চুরি, সশস্ত্র ডাকাতি এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহনের মতো অভিযোগ ছিল। এসব অপরাধে তিনি ১১-২২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন এবং চলতি বছরের ৯ জুলাই প্যারোলে মুক্তি পান। এপ্রিল থেকে তিনি জামিন ছাড়াই আটক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এখনো আনেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ফেডারেল মামলায় ধাওয়া শেষে তার গাড়ি থেকে বন্দুক উদ্ধারের পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডেট্রয়েট পুলিশের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়।

ডেট্রয়েটের পশ্চিম দিকে একটি পোড়া গাড়ির ভেতর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর এলাউন্ট্রা সাটনের জন্য একটি GoFundMe প্রচারণা শুরু হয়েছে। নিহতরা তার মেয়ে, বোন ও মা বলে ধারণা করা হচ্ছে/ GoFundMe, Elauntra Sutton
ফেডারেল মামলার নথি অনুযায়ী, তদন্তকারীরা শহরে স্থাপিত লাইসেন্স প্লেট রিডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে আগুন লাগানোর আগে জ্বলন্ত এসইউভির আশপাশে থাকা গাড়িগুলো চিহ্নিত করেন। এতে একটি ২০০৯ সালের স্যাটার্ন ভিউ গাড়িকে শনাক্ত করা হয়, যা রেডিংয়ের নামে নিবন্ধিত।
গাড়িটি নজরদারিতে রাখার পর পুলিশ নদী রুজ এলাকায় সেটি দেখতে পায়। পরে রেডিং পুলিশকে ধাওয়ার মুখে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর মিশিগান রাজ্য পুলিশের এক ট্রুপার আই-৭৫ সেতুতে গাড়িটি শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় রেডিংয়ের বিরুদ্ধে ওয়েইন কাউন্টি সার্কিট কোর্টে পুলিশের কাছ থেকে পালানো এবং আক্রমণ/প্রতিরোধ/বাধা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
Source & Photo: http://detroitnews.com