রোববার দুপুরে অনুষ্ঠান শুরু হয় “পিস এক্সপো”র মাধ্যমে, যেখানে বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান শান্তি ও কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। এক্সপোর উদ্বোধনী বক্তব্যে এমআইআইপিএইচ-এর পরিচালক অ্যান্ডি বেথুন অতিথিদের স্বাগত জানান এবং বোর্ড সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় এমআইআইপিএইচ-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. দেবাশীষ মৃধা তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “শান্তি ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য”।
সাগিনাও শহরের মেয়র ব্রেন্ডা এফ. মুর শান্তির প্রতীক হিসেবে নতুন পথের উদ্বোধন করেন এবং ঘোষণা দেন, ওয়াশিংটন এভিনিউর এক ব্লক (এজরা রাস্ট ড্রাইভ থেকে ইস্ট হল্যান্ড অ্যাভিনিউ পর্যন্ত) এখন থেকে পরিচিত হবে “মৃধা পিচ পথ” নামে। তিনি বলেন, এটি কেবল একটি রাস্তার নাম নয়, এটি আমাদের শহরের মানুষের জন্য শান্তির এক স্থায়ী আমন্ত্রণ।
শুরুর স্থানে নির্মিত হয়েছে একটি মনোরম স্মৃতিস্তম্ভ, আর পথের দুই পাশে স্থাপন করা হয়েছে নান্দনিক মার্বেল বেঞ্চ। প্রতিটি বেঞ্চে খোদাই করা শান্তির বাণী পথচারীদের থমকে দাঁড়াতে, ভাবতে এবং অন্তর্দৃষ্টি জাগাতে আহ্বান জানায়। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই স্থান নিঃসন্দেহে সাগিনাওবাসীর এক শান্তিময় আশ্রয় হয়ে উঠবে।

ফিতা কেটে পথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ড. দেবাশীষ মৃধা, চিনু মৃধা, মেয়র ব্রেন্ডা মুর এবং বোর্ডের সদস্য ড. ক্রেগ ডগলাস, ড. জন হিটস, জেনি ভেলাসকুয়েজ ও অ্যান্ডি বেথুন। উদ্বোধনের পর চিনু মৃধা ও জেনি ভেলাসকুয়েজ শুভ্র সাদা পায়রা উড়িয়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন।
সাগিনাও পুলিশের সহযোগিতায় শান্তি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা সাউথ ওয়াশিংটন এভিনিউ, ইস্ট হল্যান্ড এভিনিউ ও এজরা রাস্ট ড্রাইভ অতিক্রম করেন। পদযাত্রা শেষে শান্তির স্মৃতিস্তম্ভে ফিরে এসে সবাই ঐক্য, সাম্য ও শান্তির প্রতীকে একত্রিত হয়ে ছবি তুলেন—যা হয়ে থাকবে এক অমূল্য স্মৃতি। এ সময় প্রতিটি মার্বেল বেঞ্চে থেমে তাঁরা শান্তির বানী পাঠ করেন।
সন্ধ্যায় মন্টেগ ইন-এ অনুষ্ঠিত আফটারগ্লো রিসেপশনে অতিথিরা আনন্দঘন পরিবেশে মিলিত হন। শিল্পী জেসন ডিন, ক্রিস প্রাইড-হেলম ও রবার্ট বালডেরামা তাঁদের সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আবহকে আরও প্রাণবন্ত ও অনুপ্রেরণামূলক করে তোলেন।
এই অনুষ্ঠান শুধু এমআইআইপিএইচ-এর পাঁচ বছরের নিরলস পথচলার উদ্যাপনই নয়, বরং “মৃধা পিচ পথ”-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে শান্তি ও মানবতার বার্তাকে একটি স্থায়ী রূপ দিয়েছে। এটি চিরকাল স্মরণ করিয়ে দেবে “শান্তি আমাদের যৌথ লক্ষ্য।”
উল্লেখযোগ্য, পাঁচ বছর আগে ড. দেবাশীষ মৃধা এবং চিনু মৃধা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড হ্যাপিনেস। তাঁদের লক্ষ্য ছিল— বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সুখের আলো ছড়িয়ে দেওয়া, মানবতার সেতুবন্ধন গড়ে তোলা। সেই যাত্রা আজ “মৃধা পিচ পথ”-এর মাধ্যমে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাল।