মহুয়া ব্যানার্জী একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা ও হিন্দি গান পরিবেশন করলে দর্শক-শ্রোতারা হাততালিতে ভরিয়ে দেন প্রাঙ্গণ। অনেকে সুরের তালে নেচে গেয়ে যোগ দেন শিল্পীর সঙ্গে। সত্যিই এ যেন ছিল এক অন্যরকম দুর্গোৎসবের আনন্দ, যেখানে পূজা মিলেমিশে একাকার হয়েছে সুর ও ছন্দের উৎসবে। শিল্পীকে যন্ত্রসঙ্গীতে সহযোগিতা করেন তাপস দত্ত মার্কো।

শুধু মহুয়ার একক পরিবেশনাই নয়, স্থানীয় শিল্পীরাও গান ও নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন। নাচে-গানে ভরে ওঠা সপ্তমীর এই সন্ধ্যা মিশিগানের প্রবাসী বাঙালির কাছে হয়ে ওঠে এক মিলনমেলা। যা সংস্কৃতি, আবেগ আর উৎসবের অটুট বন্ধনে গাঁথা। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও দার্শনিক ড. দেবাশীষ মৃধা ও চিনু মৃধা।
সঙ্গীতানুষ্ঠান শেষে ভক্তরা সমবেত হয়ে দেবীর উদ্দেশে আরতি করেন। প্রদীপের আলো, শঙ্খধ্বনি ও ঘণ্টাধ্বনিতে মন্দির প্রাঙ্গণ মুহূর্তেই ভরে ওঠে এক গম্ভীর ভক্তিময় আবহে। ভক্তরা তাঁদের ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেবীর চরণে।
একদিকে মহুয়া ব্যানার্জীর সুরের আবেশ, অন্যদিকে আরতির ভক্তিসিক্ত পরিবেশ দুই মিলিয়ে সপ্তমীর রাত হয়ে ওঠে স্মরণীয় ও আধ্যাত্মিক আনন্দে পূর্ণ।