
ডাঃ শফিকুর রহমান দলের ৪১ টি অঙ্গীকারের কথা বললেও সংক্ষেপে ৭ টির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বক্তব্যের সময় তিনি উপস্থিত দর্শকদের দেখে স্থানীয় মিশিগান কমিউনিটিকে উদারভাবে “ছোট বাংলাদেশ” বলে অভিহিত করেন।
ডাঃ শফিকুর রহমান দেশের আমূল পরিবর্তনে প্রবাসীদের অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামীতে সরকার গঠন করুন বা বিরোধী দলে থাকুন, সংসদে প্রবাসীদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি তাকে দেয়া ফুলের তোড়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি ফুলের তোড়ার মধ্যে কয়েক ধরণের ফুল থাকে, তেমনি আমাদের প্রত্যেকের চিন্তাভাবনা ও ধারণাও ভিন্ন। তাই আমরা সবাইকে নিয়েই আগামীর পথচলা হবে। বহির্বিশ্বের রাজনীতিতে আমরা সবার সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলব। তবে বন্ধুত্ব মানে প্রভুত্ব নয়।

ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, দুনিয়ার এত ছোট জায়গায় আমাদের দেশের মতো এত মানুষ আর কোথাও নেই। এই সমাজে মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশে চারটি ধর্ম বিদ্যমান থাকলেও আমরা সবাই মিলে বসবাস করছি। আমাদের মধ্যে বর্ণ বৈষম্য নেই, তবে শ্রেণি বৈষম্য রয়ে গেছে। ক্ষমতায় গেলে অনেকেই সবকিছু ভুলে যান। আমারা শ্রেণিবৈষম্য দূরীকরণে পদক্ষেপ নেবো।
ডা. শফিকুর রহমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবার এবং ক্ষমতাশালী বা রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে কোনো আপোষ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। তিনি বক্তব্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, যেই অপরাধ করবে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যে জাতির মেরুদন্ড ঠিক নেই, সেই জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সমালোচনা হবে গঠনমূলক, জাতির স্বার্থ ও কল্যাণে। সমাজের দুই শ্রেণির মানুষকে রাজনৈতিক সমাজ এবং সাংবাদিক সমাজ উভয় দিক থেকে দেখতে হয়। এই দুই জায়গায় যদি ঘাটতি থাকে, সমাজে অসমতা দেখা দেয়। তাই সত্যের পথে সমালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। আপনারা সাদা কে সাদা এবং কালোকে কালো বলবেন। এতে দল ও রাষ্ট্র উভয়ই লাভবান হবে।
গণ সংবর্বধনা অনুষ্ঠানেবক্তব্য রাখেন, জামায়াত ইসলামি যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ডাঃ নাকিবুর রহমান, ডাঃ খালেদ্জ্জামান, ইমাম আব্দুল লতিফ আজম, এ্যাটর্নি রুহুল মোমেন ও সাইদুল ইসলাম।
প্রথমবারের মতো মিশিগানে কোনো দলীয় রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান আসার কারণে পুরো হলটি নারী-পুরুষ সমাগমে পূর্ণ হয়ে যায়। অনুষ্ঠানের মধ্যভাগে রেনেসা শিল্পী গোষ্ঠী ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে।

আশিক রহমান :