মাধবপুর (হবিগঞ্জ), ৪ নভেম্বর: হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্ত্রী শাপলা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী রাজন মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশ জানায়, রাজন মিয়া সোমবার রাতে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রী শাপলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশটি করড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমির বালির নিচে পুঁতে রাখেন। পরদিন সকালে তিনি হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করেন। আদালত বিষয়টি মাধবপুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ করড়া গ্রামের ওই জায়গা থেকে শাপলা বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শাপলা বেগম (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী রাজন মিয়া হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে। কয়েক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর দম্পতি করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন শাপলা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়া সন্দেহ নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই সূত্রেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, “নিহত শাপলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ঘাতক রাজন মিয়া পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।”
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :