আমেরিকা , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা আসমানে যাইওনারে বন্ধু খ্যাত গায়ক পাগলা হাসান পথ দুর্ঘটনায় নিহত মুজিবনগর সরকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা : রাষ্ট্রদূত ইমরান ওয়ারেন স্টোরে শিশুকে অশালীনভাবে স্পর্শ, যুবক গ্রেফতার এমএসইউ লাইব্রেরীতে যৌন দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক ঘৃণ্য অপরাধের তদন্ত করছে পুলিশ  সাত-সেকেন্ডের দ্বন্দ্বে পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোর শিব মন্দিরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ আজ পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ বিশ্বের ‘সর্ববৃহৎ’ আলপনায় রাঙানো হলো হাওরের সড়ক আজ চৈত্র সংক্রান্তি : বছরের শেষ দিন  ডেট্রয়েট শহরের কেন্দ্রস্থলে ডিটিই সাবস্টেশনে আগুন ওয়ারেন পুলিশের গুলিতে নিহত ১ তাড়া করে চালককে অস্ত্রসহ গ্রেফতার মিশিগানে যৌন অপরাধীর সঙ্গে মিলল নিখোঁজ ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার মেয়ে এসবি আই-৭৫ সড়কে দুর্ঘটনায় ম্যাকম্ব কাউন্টির এক ব্যক্তি নিহত ম্যাকম্ব কাউন্টিতে মাদক ও অস্ত্রসহ ৩ জন গ্রেফতার আটলান্টিক সিটিতে প্রাণের আমেজে ঈদুল ফিতর উদযাপিত প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে কাজ করুন হবিগঞ্জে প্রাণের চিপস কারখানার আগুন, নারীর মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় ঈদ আজ

বাংলাদেশে ৫০ বছরে ৫শ নদী বিলীন

  • আপলোড সময় : ২৭-০৫-২০২৩ ০৯:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৫-২০২৩ ০৯:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে ৫০ বছরে ৫শ নদী বিলীন
ঢাকা, ২৭ মে : রিস্ক বাড়ছে, বাংলাদেশ কি সত্যিই এবার নদীশূন্য হয়ে যাবে? কোন বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে বাংলাদেশের বুকে? কোন কোন দিক দিয়ে কতটা ভুগতে হবে বাংলাদেশকে? পর পর প্রায় ৫০০ নদীর মৃত্যু। কিন্তু এত এত নদী মরে যাওয়ার পেছনে কারণটা কি? কোথাও কি বড় দায় থেকে যাচ্ছে ভারতের? এভাবে দখল, দূষণ আর ভরাট চলতে থাকলে, বাঁচবে কি করে নদীশূণ্য বাংলাদেশ? গবেষকরা যা বলছেন তা শুনলে রীতিমতো মাথায় হাত পড়বে, নদীর এই মৃত্যু ঠেকানো না গেলে বাংলাদেশের জলবায়ু, জনজীবন ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এমনকি বাংলাদেশ হয়ে যেতে পারে নদীশূন্য। সেক্ষেত্রে একটা বিরাট বড় প্রশ্ন উঠছে, নদী না বাঁচলে দেশ বাঁচবে কি করে?
রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের তথ্য মতে, গত ৫০ বছরে প্রায় ৫০০ নদীর মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু,এতো এতো নদী মৃত্যুর কারণ কি? গবেষণায় উঠে আসছে নদীর জল ও পলিপ্রবাহে ক্রমাগত বাধা, নদী বেদখল হয়ে যাওয়া। তাছাড়া আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর জল সরিয়ে নেওয়াও একটা বড় ফ্যাক্টর। এরসাথে রয়েছে ষ অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যাপক দূষণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব। তবে কোথাও গিয়ে এক্ষেত্রে দায় থেকে যাচ্ছে কি ভারতেরও?
ঢাকা অভিযোগ করছে বাংলাদেশে নেমে আসা নদীগুলোর ওপর শত সহস্র বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ওই বাঁধের কারণেই এত বছরে, বিশেষত শুষ্ক মৌসুমে, নদীগুলোর জলপ্রবাহ ভয়াবহ মাত্রায় বাধা পেয়েছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত আরও ছোট-বড় নদীর জলপ্রবাহও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলাফল বহুমাত্রিক বিপর্যয়। শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে রীতিমতো মরুময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুধু যে এসব নদী অববাহিকায় জীবন, জীবিকা, ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা তো নয়, জীবনমান, স্বাস্থ্য, প্রাণবৈচিত্র্যও বিপদে পড়ে, পড়ে চলেছে। যার আর্থিক মূল্য বের করা কিন্তু কঠিন। এক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির দায় বাংলাদেশ ভারতের উপরেই চাপিয়েছে।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করে দিতে হয়, ভারত এবং বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ৫০ এর ও বেশি, যার মধ্যে শুধু গঙ্গা নদীর জলবণ্টন চুক্তি রয়েছে। কিন্তু, এই যে পাঁচ শতাধিক নদী বিলীন, শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে রীতিমতো মরু পরিস্থিতি তৈরি হওয়া, গবেষণা বলছে এটার প্রধান কারণ কিন্তু আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পলিপ্রবাহ কমে যাওয়া‌। এর ক্ষতিকর প্রভাবে বড় নদীগুলোর শাখা নদী মৃত্যুর পথে। এমনকি পদ্মার মতো তেজি নদীর আয়তনও কমেছে প্রায় অর্ধেক। এরজন্য অনেকাংশে দায়ী সেই বাঁধ নির্মাণ। একের পর এক বাঁধ নির্মাণের গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পলিপ্রবাহ বাড়বে তো নাই, বরং বর্তমানের চেয়ে কয়েক গুণ কমবে‌। আর, পলিপ্রবাহ যত কমবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
না আমরা বলছি না, বলছে গবেষণা। তাই বলে কি একেবারে নদী শূন্য হওয়ার পথে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ? ‘জিওমরফিক চেঞ্জ ইন দ্য গ্যাঞ্জেস-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ডেলটা’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, উজানে একের পর এক বাঁধ নির্মাণ ও আন্তঃনদীসংযোগ তৈরির মাধ্যমে জল প্রত্যাহার করা হলে চলতি শতকের শেষে জিবিএম অববাহিকার নদীগুলোয় পলিপ্রবাহ হ্রাস পেতে পারে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত। ১ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই অববাহিকায় ১৭ কোটি মানুষের জনজীবন শঙ্কায় পড়বে। বিশেষত বাংলাদেশে বাড়বে লবণাক্ততা। ফলে রোগবালাই সহ নানান সংকটের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। এমনকি দেশ হতে পারে নদীশূন্য। এত এত নদী মৃত্যুর পেছনে আরো একটা কারণ আছে জল বন্টনের জটিলতা এবং অসম প্রত্যাহার।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগে সরব যে, জলবণ্টন নিয়ে ভারত একাই সব সিদ্ধান্ত নেয়। তেমনই জল সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ভারতের পাশাপাশি তাঁরা এবার চীনের দিকেও আঙুল তুলছে। ভারত চীনের এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে জল প্রত্যাহার করা হলে তা বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক গঠন প্রক্রিয়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাবে। পলি জমা হওয়ার হারে আসবে নাটকীয় পরিবর্তন। পরিবর্তন আসবে ব-দ্বীপ এলাকার গঠনগত ভারসাম্যে। না, এখানেই শেষ নয়।পলিপ্রবাহ হ্রাস ও জল প্রত্যাহারের কারণে যখন নদীগুলো আধমরা হয়ে যায়, তখন সেসব নদী গিলে খায় দখলদার ও শিল্পকারখানার বর্জ্য। মরে যাওয়া নদী ছাড়াও জীবিত নদীগুলোকে তিল তিল করে বেদখল করছে প্রভাবশালীরা। সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামের মন্তব্য টা এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছিলেন সরকারি দলের লোকেরাই নদী দখল করে আর, ঠিক এসব কারণেই বাংলাদেশ নদীশূন্য হওয়ার পথে। এখন যেসব নদী আছে, সেগুলো সবই খালের সমান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ক্লিনটন টাউনশিপে তিন গাড়ির সংঘর্ষে তরুণ নিহত

ক্লিনটন টাউনশিপে তিন গাড়ির সংঘর্ষে তরুণ নিহত