গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে হ্যামট্রাম্যাক ও ডেট্টয়েট শহরের সংযোগস্থল ম্যাকনিকলস ট্টাফিক পয়েন্টে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মাহিদুল ইসলাম সুজন। গুরুতর আহত তার বাবা নুর মিয়াকে ডিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর মিয়া। রোববার জানাজার নামাজ শুরুর আগে বক্তব্যে রাখেন হ্যামট্রাম্যাক সিটির কাউন্সিল মেম্বার মোহাম্মদ হাসান ও নিহত সুজনের শশুর আবদুল মতিন।

নিহত বাবা ও ছেলে
জানাজার নামাজে অংশ নেওয়া অনেক মুসল্লির অভিযোগ, সুজনের কোন দোষ ছিল না। সে ট্টাফিক আইন মেনে স্টাপ সাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যস্ততম আবাসিক এলাকায় দুবৃর্ত্তদের গাড়ি পুলিশ ধাওয়্ করার কারণেই মারা যান সুজন ও তার বাবা নুর মিয়া। এই ঘটনায় অনেক মুসল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হ্যামট্টাম্যাক সিটির ট্রাফিক আইন সংস্কারসহ নিহত সুজন ও নুর মিয়ার হত্যার বিচার দাবি করেন মুসল্লিরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি গ্যাস স্টেশনে পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন সাদা একটি গাড়ির যাত্রীরা। পুলিশ ওই গাড়ির যাত্রীদের আটকের চেষ্টা চালান। এসময় ট্টাফিক সিগনালের রেড লাইটে সুজনের গাড়িটি দাঁড়ানো ছিল। পুলিশের তাড়া খেয়ে সাদা গাড়িটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় সুজনের দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এসময় সুজনের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এছাড়া আরও কয়েকটি গাড়ি সেসময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দুর্ঘনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
নিহত সুজন স্টার্লিং হাইটস শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রামে। স্বজনরা জানিয়েছেন, সুজর চার বছর আগে বিয়ে করে আমেরিকা আসেন। বৃদ্ধ বাবা নুর মিয়াকে একমাস আগে ভিজিট ভিসায় নিজের কাছে নিয়ে আসেন তিনি। সুজন অ্যামাজনে চাকরি করতেন। আমেরিকা আসার আগে সুজন ব্যাংকে চাকরি করতেন। সুজনের অন্তসত্তা স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। একসঙ্গে বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।