আটলান্টিক, (নিউজার্সি) ২৮ সেপ্টেম্বর : বাংলার আকাশে এখন ছেঁড়া ছেঁড়া পেঁজা পেঁজা সাদা তুলোট মেঘের ছোটাছুটি,কাশবনে কাশ ফুলের দোল,শিউলি ফুলের সুগন্ধে মাতোয়ারা ধরিএী।যদিও সুদূর আমেরিকায় এসবের কোন ছোঁয়াই নেই,তথাপি অন্তরে লালন-পালন করা দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য মনন পোড়া মনকে জানান দেয়-ঋতুটা শরৎ, সময়টা শারদোৎসবের।
পুরাণে দেবী দুর্গার আবির্ভাব তত্ত্বে বলা হয়েছে, সমাজের সব অশুভ শক্তির বিনাশে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব। ক্রেতাযুগে অসুরকূলের দাপটে সমগ্র মানব জাতি যখন উৎকণ্ঠিত তখন মানব কল্যাণে এই ধরাধামে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। তিনি পিতৃ আদেশে বনবাসে থাকাকালীন লঙ্কেশর রাবন তার স্ত্রী সীতাকে অপহরন করে লংকায় লুকিয়ে রাখেন। লংকাপুরী থেকে প্রিয়তমা স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহবান করেন। বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দেবী দুর্গাকে আহবান করায় এ পূজাকে 'অকালবোধন' বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শরৎকালে দুর্গাপূজার প্রচলন হয়।
সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস,অসুর শক্তি বিনাশকারী দেবী দুর্গার আরাধনার মধ্য দিয়ে সমাজ থেকে সব পাপ দূর হয়ে যাবে, সমাজে ফিরে আসবে শান্তি। এবছর দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসছেন গজে চড়ে , দেবী দুর্গা বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। শারদোৎসবের বার্তা পেয়ে প্রবাসী বাংগালি হিন্দুরা মেতে উঠেছে দুর্গোৎসবের হরেক আয়োজনে।
নিউজার্সি রাজ্যের সাউথ জার্সিতে জাগরণী কালচারাল সোসাইটি ইনক এর উদ্যোগে আগামী ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে আট অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত ৫৭১, দক্ষিণ পোমনা রোডে অবস্থিত হিন্দু জৈন মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে দুর্গোৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পূজার্চনা, আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মহাপ্রসাদ বিতরন। ৭ অক্টোবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন জি বাংলার সারেগামাপা খ্যাত সংগীত শিল্পী সুপ্রতীপ ভট্টাচার্য ।