রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় হল দীপাবলি : ড. দেবাশীষ মৃধা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক :
image

ওয়ারেন, ২৪ অক্টোবর : প্রদীপ প্রজ্বলন, পূজা অর্চনা, ডান্ডিয়া ড্যান্স আর নাচে গানে মিশিগান শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা ও দীপাবলি পালিত হচ্ছে। উৎসবের প্রথম দিন গতকাল রোববার ভক্ত-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মন্দির প্রাঙ্গন।

রাত পৌণে ৮টার দিকে শিব মন্দির টেম্পল- অব জয়-র প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং স্বনামধন্য দার্শনিক ড. দেবাশীষ মৃধা, তার সহধর্মিনী চিনু মৃধা মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী দীপাবলি উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর নৃত্য শিল্পী অন্তরা অন্তি-র কোরিওগ্রাফিতে অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর নৃত্যের সাথে প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠান। এতে নীল রঙের শাড়ি পরে অংশ নেন নারী ভক্তরা। আলোর উৎসব শেষে অন্তরা অন্তি-র কোরিওগ্রাফিতে নারীরা ডান্ডিয়া নাচ করেন। 


অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্তবক্তব্য রাখেন, সমাজসেবী, সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি চিনু মৃধা, ইঞ্জিনিয়ার রতন হাওলাদার, সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য চৌধুরী, শ্যামাপূজা  উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আশুতোষ চৌধুরী, মন্দিরের প্রিস্ট পূর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু প্রমুখ। 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মৃধা বলেন, দীপাবলীর আলোর উৎসব। অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর জয়। মিথ্যের বিরুদ্ধে সত্যের জয়।  অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় হল দীপাবলি। বিশ্বাস করা হয়, নিকষ অন্ধকারেই অশুভ আত্মা ও অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে ঘরের প্রতিটি কোনায় কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। তাই এই দিনে আমরা আলো জ্বালাতে চাই। এই আলোর উৎসব আপনার জীবনে নিয়ে আসুক আনন্দ, সমৃদ্ধি, শুভ দীপাবলি! 


অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রূপকথা দেব, পুষ্পা, প্রমা, বিনীতা দত্ত, দেবব্রত দে, লাকি দে, চিনু মৃধা, অমিতা মৃধা, শর্মিলা দেবরায়, শ্রদ্ধা হাওলাদার, স্নেহা হাওলাদার এবং শ্রুতি হাওলাদার। তবলায় ছিলেন ঋষিকেশ দাশ।

নৃত্য পরিবেশন করেন স্নেহা দেব, কুয়াশা, প্রত্যুষা পাল, রিয়া রায়, কৃষ্টি পাল, মৃত্তিকা সরকার, অর্পিতা সরকার, শ্রদ্ধা হাওলাদার, স্নেহা হাওলাদার, শ্রুতি হাওলাদার, হৃষিকা পাল।  


সবশেষে শিব মন্দিরের মঞ্চ মাতালেন মিশিগানের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী পৃথা দেব ও তার ব্যান্ড দল আনন্দ। অনুষ্ঠানে সব ধরনের গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। তাকে যন্ত্রে সহযোগিতা করেন গিটারে  শাওন বড়ুয়া, কীবোর্ডে অভিষেক চৌধুরী ও অক্টোপ্যাডে আকাশ চৌধুরী। অভিষেক চৌধুরীও গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মন জয় করেন। 


আনন্দ ব্যান্ড-দলটি সম্প্রতি গঠিত  হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি  কনসার্ট করেছে ব্যান্ডটি। অনেকেই  মনে করছেন দলটির প্রতি পৃষ্টপোষকতার হাত বাড়ালে প্রবাসে সমৃদ্ধ হবে আমাদের সঙ্গীত  ভুবন।

পুজো স্পন্সর করছেন অপূর্ব সাহা, বৃত্তা চৌধুরী ও অস্কার সাহা। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন চিনু মৃধা এবং সৌরভ চৌধুরী।  সাউন্ড সিস্টেমে ছিলেন রাজর্ষি চৌধুরী গৌরব। পূজার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে শ্যামাপূজা উদযাপন কমিটি।  


কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন আশুতোষ চৌধুরী। ১২ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটির সদস্যরা হলেন অতুল দস্তিদার, হীরালাল কপালী, অরূপ পুরকায়স্থ, বাবুল পাল, সঞ্জয় শীল, কুলেন্দু পাল, ঝন্টু দাশ, হিমেল দাশ, রাহুল দাশ,  স্বদেশ রঞ্জন সরকার এবং জিতেন গোপ।

 

 


এ জাতীয় আরো খবর