রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

ভ্রাতৃদ্বিতীয়া আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক :
image

হ্যামট্রাম্যাক, ২৬ অক্টোবর : “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/ যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা/ যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা/ আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।’’ ছড়ার এই পংক্তি আজ লক্ষ কন্ঠে উচ্চারিত হবে। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় কপালে চন্দনের তিলক পরিয়ে বোনেরা উচ্চারণ করবেন এই মন্ত্র। আর এভাবেই বাঙালির ঘরে ঘরে মূর্ত রূপ পাবে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
কার্তিক মাসের শুক্লা প্রতিপদ থেকেই ফোঁটা শুরু হয়। প্রতিপদ এবং দ্বিতীয়া মিলে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ভাইফোঁটা। যাঁরা প্রতিপদে ভাইফোঁটা দেন-  তাঁরা ফোঁটা দেওয়ার সময় বলেন- ‘প্রতিপদে দিয়ে ফোঁটা রাখিলাম নিয়ম, দ্বিতীয়াতে করাইব ভোজন। যার অর্থ, ভাইকে প্রতিপদে ফোঁটা দিয়ে দ্বিতীয়াতে নিমন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে, সব পরিবারে প্রতিপদে ফোঁটা নেওয়ার রেওয়াজ নেই। বেশিরভাগ হিন্দুরই দ্বিতীয়ায় ফোঁটা নেওয়া বংশীয় রীতি। কথিত আছে,  কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে এই রীতি চলছে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। 
ভাইফোঁটার দিন ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোনেরা তাঁদের কপালে কনিষ্ঠা আঙুল দিয়ে  চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দেন। ধান, দুর্বা দিয়ে ভাইয়ের মাথায় আশীর্বাদ করেন, শঙ্খ বাজান, উলু দেন। এরপর বোন ভাইকে মিষ্টিমুখ করায় এবং এক অন্যে উপহার দেয়ার রীতি রয়েছে। ভাইফোঁটা একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠান হলেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়ে থাকে।  প্রবাসেও প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে চলবে উৎসবের এই মহাপর্ব। ভাইদের শুভ মঙ্গল কামনায় বোনেরা কপালে দেবেন চন্দনের ফোঁটা। আর এই প্রবাসে যাদের ভাই নেই, তাদের মনে বিষাদের সুর। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ্য করা গেছে।


এ জাতীয় আরো খবর