সোমবার, মে ৬, ২০২৪

আজও প্রচলিত দ্রৌপদী প্রথা ! একাধিক ভাইয়ের এক স্ত্রী

  • সুপ্রভাত মিশিগান ডেস্ক :
image

কিন্নর, (হিমাচল প্রদেশ) ৩০ ডিসেম্বর : মহাভারতে দ্রৌপদীর সঙ্গে পঞ্চপাণ্ডবদের নাম কীভাবে জুড়ে ছিল তা বর্তমানে বহু মানুষেরই জানা। পাঁচ পাণ্ডবকে বিবাহ করেও বহু লাঞ্ছনা সইতে হয়েছিল দ্রৌপদীকে (Draupadi)। ভরা সভায় তাঁর সম্মান বাঁচাতে অসমর্থ হয় দ্রৌপদীর পাঁচ স্বামী। তবে বর্তমানে বাস্তবেও এমন দ্রৌপদীদের দেখা মেলে। আর তাঁরা রয়েছেন এই দেশেই অর্থাৎ ভারতে। তাদের জন্য বহু স্বামী কোন লজ্জার বিষয় নয় বরং যে স্ত্রীর একাধিক স্বামী রয়েছে তাঁরা নিজেদের বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ বলে মনে করেন। এছাড়াও তাদের সমাজে সেই সকল স্ত্রীরা বেশি স্বাধীন।
জানতে চান ভারতের কোথায় এখনও পর্যন্ত প্রচলন রয়েছে দ্রৌপদী প্রথার (Draupadi Tradition) ? হিমালয়ের কোলে থাকা একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা রাজ্য হল হিমাচল প্রদেশ। সেইখানে আজও সামাজিক প্রথা মেনে একজন মহিলা একই পরিবারের সবাইকে বিয়ে করতে পারেন। এটা তাদের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বলেই মনে করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই রীতি চলে আসছে । এখানকার এমন অনেক মহিলাই রয়েছেন যারা এক একটি পরিবারে থাকা সকল ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছেন এবং সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার করে চলেছেন।
বলা হয় যখন পঞ্চপাণ্ডব (Panch Pandav) ১২ বছরের জন্য বনবাসে ছিলেন সেই সময় তাঁরা হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে (Kinnaur) কিছুদিন কাটিয়েছিলেন। আর সেই সময় থেকেই নাকি ওই অঞ্চলের মহিলাদের এই বহু বিবাহের রীতি প্রচলিত হয়। ওই অঞ্চলে সকলেই যে এমন রীতি মেনে চলেন তেমনটা নয়। কিছু মানুষের মধ্যে এই রীতি মেনে চলার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। যেমন ধরুন ওই অঞ্চলের কোন মেয়ের যদি বিবাহের বয়স হয় তাহলে পাত্রীপক্ষ কোন একটি পরিবারের সব ভাইদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করেন। আর তারপর সেই মেয়েটি একই সঙ্গে সকল ভাইদের সঙ্গে বিবাহ সারেন।
এক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের মতো করেই নিজেদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু নিয়ম বানিয়ে নিয়েছেন। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মানুষের টুপি পড়ার একটা রীতি রয়েছে। কোন ভাই যখন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘরে থাকেন সেই সময় তিনি তাঁর টুপি খুলে দরজার বাইরে রেখে দেন। এই টুপি অন্যদের সংকেত দেয়। বলা হয়, এই দ্রৌপদী প্রথার পেছনে রয়েছে অন্য সমীকরণও। প্রত্যেকটি ভাই একজন মহিলাকে বিবাহ করলে তাদের সম্পত্তি ভাগ করার কোন প্রবণতা থাকে না। আর সমাজের প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে সমস্ত ক্ষমতা থাকে মহিলাদের হাতেই। হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও উত্তরাখণ্ডের আদিবাসী সমাজ এবং দক্ষিণ ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু এলাকায় এই প্রথা মেনে চলার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়।
সূত্র : প্রথম কলকাতা


এ জাতীয় আরো খবর