সোমবার, মে ৬, ২০২৪

মহিলাদের পায়ের চুটকিতে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা!

  • সুপ্রভাত মিশিগান ডেস্ক :
image

কলকাতা, ০৬ ফেব্রুয়ারি : হিন্দুধর্মে বিবাহিত মহিলাদের ১৬ সজ্জার কথা উল্লেখ করা হয়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে একজন বিবাহিতা নারীর মাথার টিকলি থেকে শুরু করে পায়ের চুটকি বা অঙ্গুরী (Toe Ring) পর্যন্ত বিশেষ অর্থ বহন করে, এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র (Astrology) মতে, বিবাহিত মহিলাদের পায়ের আঙুলে যে অঙ্গুরী থাকে তার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। ধর্মমতে এবং বিজ্ঞানের যুক্তি অনুসারে , এই চুটকি ভীষণভাবে সাহায্য করে মহিলাদেরকে। যদিও পূর্বে হিন্দু নারীরা বিবাহিত (Married Woman) হওয়ার প্রতীক স্বরূপ এই অঙ্গুরী পরিধান করতেন। কিন্তু বর্তমানে বহু অবিবাহিত মেয়েরাও ফ্যাশনের কারণে অঙ্গুরী পরে থাকেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস: হিন্দু পুরাণ বলছে, ভগবান রামচন্দ্রের স্ত্রী মা সীতাকে যখন রাবণ অপহরণ করেছিলেন তখন সীতার পায়ের আঙুলে ছিল অঙ্গুরী। যে পথ দিয়েছি তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই পথেই একটা একটা করে অঙ্গুরী ফেলতে ফেলতে গিয়েছিলেন তিনি। যাতে রামচন্দ্র তাকে খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে, পায়ে অঙ্গুরী পরলে বিশেষ কিছু সুফল পাওয়া যায়। যেমন এই অঙ্গুরী চন্দ্রের শক্তিকে আহ্বান করে। তাই পায়ের আঙুলে গয়না পরা হয় চন্দ্রের স্থিতি ঠিক রাখার জন্য । এতে মন এবং মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। পাশাপাশি বিবাহিত দম্পতির জীবনও অত্যন্ত সুখময় হয়।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুণ: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বহু যুগ ধরেই একথা বলে আসছে যে নারীদের পায়ে থাকা অঙ্গুরী বা আঙ্গোট বা চুটকি মহিলাদের মিনস্ট্রুয়াল সাইকেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, পায়ের আঙুলের এই আংটিটি অনেকটা অ্যাকুপ্রেশারের মতো কাজ করে। এটি সায়াটিকা স্নায়ুর উপরে চাপ সৃষ্টি করে। যা মানব দেহের নানা কার্যকলাপকে একেবারে স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে। রক্তচাপ থাকে স্বাভাবিক। আর অঙ্গুরী মূলত রুপো দিয়ে তৈরি করেই পরা হয়। কাজেই রুপো শরীরকে শীতল রাখে। যদিও একটি ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোমরের নিচে কখনও সোনার গয়না পরিধান করতে নেই। তাই সেই কারণেই রুপোর অঙ্গুরী ব্যবহার করা হয়।

বি. দ্র: প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেকটি ধর্মীয় তথ্য একেবারেই সাধারণ বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে লেখা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিস্তারিত জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : ।। প্রথম কলকাতা ।।


এ জাতীয় আরো খবর