মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

আজ পবিত্র শবে মেরাজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক :
image

ওয়ারেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি  : আজ  শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র শবে মেরাজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালন করবেন মুসুল্লিরা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্র্রে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, রোজা রাখা, নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শবে মেরাজ পালন করবেন।
৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব রাতে মহানবী (দ.) আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে বিশেষ ব্যবস্থায় ঊর্ধ্বাকাশে যান। সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপর পাঁচওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন পৃথিবীতে।
একই সময়ে মহানবী (দ.) সৃষ্টি জগতের সবকিছুর রহস্য অবলোকন করেন। আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। মেরাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বনিইসরাইলে বলা হয়েছে, ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময়, যিনি রাতে স্বীয় বান্দাকে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার চারদিকে আমি বরকতমণ্ডিত করেছি। যেন আমি আমার কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’
ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, পবিত্র এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (দ.) মেরাজ গমন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ইসলামে এই রাতকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের পবিত্র রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাবেন। অনেকে নফল রোজাও রাখেন। দান-সদকাও করেন। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা হতে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মেরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ও ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (দ.) আল্লাহর সান্নিধ্যে মেরাজ গমন করেন। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মেরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র এই রাতে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে নবীজী প্রথমে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে হজরত আদম (আ.) সহ নবীদের (আ.) নিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এই রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে আল্লাহর প্রিয় হাবিব মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছেন। আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (দ.)।
মুসলিম বিশ্বের মতো মিশিগানের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও কোরআনখানি, নফল নামাজ, এশার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে বিশেষ বয়ান, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আজ দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবে। 


এ জাতীয় আরো খবর