সোমবার, মে ৬, ২০২৪

আজ পবিত্র শবে বরাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক :
image

ঢাকা, ০৭ মার্চ : আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত । হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলিম উম্মার কাছে সৌভাগ্যের রজনী। এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
শবে বরাত উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, ‘মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।’
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে আজ রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিদ মাদরাসায় শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযিলত সর্ম্পকে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য সর্ম্পকে ওয়াজ করবেন খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ রুহুল আমীন। লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সর্ম্পকে ওয়াজ করবেন মহাখালীস্থ গাউছুল আযম জামে মসচিদের খতিব হযরত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী। আরো ওয়াজ করবেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতী মো. মিজানুর রহমান ও শায়খুল হাদিস মুফতী নজরুল ইসলাম কাসেমী। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার সরকারি ছুটি।
প্রসঙ্গত, ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবি ‘লাইলাতুল বরাত’ মানে সৌভাগ্যের রাত। একে বলা হয় সৌভাগ্যের রজনী। এ রাতে মানবসমাজ তথা বিশ্বের সব সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণ করেন মহান আল্লাহ তায়ালা। তিনি মানুষের জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং রুজি-রোজগার বণ্টন করেন। নাজিল করেন বান্দার প্রতি অশেষ রহমত। বান্দাদের আকুতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণেরও রাত এটি। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং বিপদগ্রস্তদের দেখান উত্তরণের পথ। এ কারণেই মুসলমানদের কাছে শবে বরাত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।


এ জাতীয় আরো খবর