শনিবার, মে ৪, ২০২৪

নবীগঞ্জে দু’গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত শতাধিক

  • আনোয়ার হোসেন মিঠু :
image

নবীগঞ্জ, (হবিগঞ্জ) ০৭ মার্চ :  নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের শিবগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল থেকে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো বাজার। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে ওই সড়কে প্রায় দু’ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসহ ইটপাটকেল ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় সিএনজিসহ বেশ কয়েকটি মিশুক গাড়ীও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের সিলেট, হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ও  চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।


স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সকাল ১১ টার দিকে বানিয়াচং উপজেলার হলদারপুর গ্রামের জনৈক টমটম চালক ও নবীগঞ্জ উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামের জনৈক যাত্রীর মধ্যে শিবগঞ্জ বাজারে ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে চালক ওই যাত্রীকে ধাক্কা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই পিকল, টেটাসহ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে। বাজারে অবস্থিত বাসা বাড়ির ছাদের উপর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ফলে পুরো বাজারই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল।

 সংঘর্ষ চলাকালে ৩টি মিশুক, ২টি সিএনজি গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এক পর্যায়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে, বাহুবলের সার্কেলের এএসপি আবুল খয়ের, বানিয়াচংয়ের ওসি অজয় রায় ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল মুকিত চৌধুরীসহ রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে দাঙ্গা হাঙ্গামা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে শিবগঞ্জ বাজার স্বাভাবিক চলাচলের উদ্যোগ নেন। 


আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত হাফিজুর রহমান (৩৫), ওহি মিয়া (২১), আলা আমিন (২৩), মামুন আহমদ (২৭) ও সফিকুর ইসলাম (৫১)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত ইয়াওর মিয়া (৬০), মেহেদুর রহমান (২৮), হাবিব মিয়া (২০), সাইফুল ইসলাম (২৬), কাওছার মিয়া (৩০), সেলিম উদ্দিন (২২), তাজেল মিয়া (৪৫), রাকু মিয়া (৩৪), এসআই জাহাঙ্গীর আলম (৪০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অন্যান্য আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালসহ স্থানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 


এ জাতীয় আরো খবর