বুধবার, মে ১, ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী

  • সুপ্রভাত মিশিগান ডেস্ক :
image

ওয়াশিংটন, ২২ ফেব্রুয়ারি : ২০২৪ এ মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কে থাকবেন এই নিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা। সেই দৌড়ে নাম লেখালেন বিবেক রামাস্বামী । ইনি যে সে ব্যক্তি নন। ৩৭ বছরের তরুণ একজন বিখ্যাত উদ্যোগপতি। এনার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। ইনি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত। এর আগেও ভারতীয় আরেক বংশোদ্ভূত নিকি হ্যালি ২০২৪ এর মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
ভারতীয়-আমেরিকান প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচনী দৌড়ে যোগ দেবেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আমেরিকার জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মেধা তন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে তিনি প্রতিশ্রুতি দেবেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই দৌড়ে শামিল হয়েছেন। ‘লাইভ হিন্দুস্থান’ এর  বরাতে প্রথম কলকাতা জানিয়েছে, ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী ২০১৪ সালে রোয়েভেন্ট সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের সবচেয়ে বড় বায়োটেক IPO-এর নেতৃত্ব দেন। তিনি বেশ কয়েকটি সফল স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২২ সালে, তিনি একটি নতুন ফার্ম, স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট চালু করেছেন।
চীনের উত্থানে আমেরিকা হুমকির মুখে
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রামাস্বামী ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, “আমরা যাদেরকে নির্বাচিত করি তাদের এই মারাত্মক ফেডারেল আমলাতন্ত্রের পরিবর্তে সরকার চালাতে বাধ্য করি”। তিনি বলেন, আমেরিকা চীনের উত্থানের মতো বাহ্যিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। যা আমেরিকার শীর্ষ পররাষ্ট্র নীতিকে হুমকিতে রেখেছে, যার প্রতি জবাব দেওয়া উচিত। অন্য কোথাও কোনো নিরর্থক যুদ্ধে জড়ালে হবে না। এর জন্য কিছু ত্যাগের প্রয়োজন হবে। এর জন্য চীন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার প্রয়োজন।
” টক শোতে রামস্বামী বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে একটি জাতীয় পরিচয় সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছি। …আমি গর্বিত যে আমি রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশে তার আদর্শগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।”  ওহাইওতে বেড়ে ওঠা ৩৭ বছর বয়সী কোটিপতি ব্যবসায়ী বিবেকের মা-বাবা ভারতের কেরালার বাসিন্দা ছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিবেক উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন হার্ভার্ড এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে।


এ জাতীয় আরো খবর