মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

আকাশে লম্বাসময় হোভারিং করতে পারে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম সাদা চিল!

  • সুপ্রভাত মিশিগান ডেস্কঃ
image

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর : পাখিটির সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্য ধরা পড়ে যখন তার ডানার ধূসর পালকের আগায় প্রজাপতি অবয়বের সাদা দাগগুলো চোখে পড়ে। বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম চিল, যা সাদা চিল হিসেবে পরিচিত।

ছোট্ট এই শিকারি পাখিটি আদা চিল, ট্যাপা চিল, সাদাডানা চিল নামেও পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে আবার এই পাখিটি কাপাসি নামে পরিচিত। এর ইংরেজি নাম ব্ল্যাক- উইংড কাইট বা ব্ল্যাক শোল্ডারড কাইট।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় পাখিটির দেখা মেলে। প্রাপ্তবয়স্ক এই সাদা চিলের দৈর্ঘ্য ৩৫-৩৮ সেন্টিমিটার ও প্রসারিত ডানা ৮০-৯০ সেন্টিমিটার। পাখিটির ওজন ১৯৭-৩৪৩ গ্রাম। এরা সাধারণত গ্রাম এলাকা, চর, বনের প্রান্ত ও বনের ভেতরের উন্মুক্ত এলাকায় একাকী বা জোড়ায় বিচরণ করে থাকে। বাংলাদেশের এরাই একমাত্র চিল, যারা দীর্ঘক্ষণ আকাশে হোভারিং করতে পারে।
এদের প্রজননকাল ডিসেম্বর-ফেব্রয়ারি মাসে। এরা প্রতিবছর একই জায়গায় একই গাছে নতুন করে বাসা বানায়৷ আর বাসা তৈরি করতে বেছে নেয় কোন বড় গাছ বা কাঁটাযুক্ত গাছের শাখার ডালপালা। যেখানে এরা গোলগাল আকারের বাসা তৈরি করে থাকে।
স্ত্রী চিল প্রতি মৌসুমে ৩-৫টি ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ গাঢ় দাগছোপসহ ফ্যাকাসে ঘিয়ে হয়। আর ডিমে তা দেওয়ার কাজটিও স্ত্রী চিল একাই করে। প্রতি দু-তিন পরপর ডিম পাড়ে, যে কারনে সব ছানা ফুটে বের হতে সপ্তাহখানেক সময় লেগে যায়। আর এই সময়টাতে স্ত্রী চিলের খাওয়ার কাজটি করে দেয় পুরুষ চিল!
সূত্র : প্রথম কলকাতা


এ জাতীয় আরো খবর