রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

শ্রীলঙ্কার পর আর্থিক মন্দার কবলে নেপাল !

  • সুপ্রভাত মিশিগান ডেস্ক :
image

কাঠমান্ডু, ১২ এপ্রিল : পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে নেপাল ? উঠছে নানান প্রশ্ন । অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কায় যেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, ঠিক অনুরূপ সুর শোনা যাচ্ছে নেপাল থেকে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে দিনের পর দিন ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এককথায় নেপালের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে তীব্র পতন ঘটেছে। পাশাপাশি এই দেশে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নেপাল সরকার এনআরবি গভর্নর মহা প্রসাদ অধিকারীকে বরখাস্ত করে নীলম ধুঙ্গানা তিমিসিনাকে নতুন গভর্নর করেছে। মহা প্রসাদ ২০২০ সালের ৬ই এপ্রিল থেকে ১৭তম গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

কিছুদিন পরেই এনআরবি গভর্নরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর নানান মতপার্থক্য দেখা দেয়। নেপালের অর্থমন্ত্রী জনার্দন শর্মার সঙ্গে এই মতপার্থক্যের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল গভর্নর মহাপ্রসাদ নাকি দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেননি। নেপাল সরকার প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি পুরুষোত্তম ভান্ডারির ​​নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে, তারপর নেপাল রাষ্ট্র ব্যাঙ্কের (এনআরবি) গভর্নর অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়। এমনটাই বলা হয়েছে ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
নেপালের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে । পাশাপাশি দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার। এছাড়াও গত সপ্তাহেই এনআরবি বিদেশ থেকে কিছু জিনিস আমদানির ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন বিলাসবহুল এবং ব্যয়বহুল যানবাহন ও অন্যান্য জিনিস। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার কমে যাওয়ার কারণেই এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে নেপালের বৈদেশিক মুদ্রায় ভাঁটা দেখা দিয়েছে, কারণ একদিকে অর্থ প্রবাহ হ্রাস অপরদিকে পর্যটন ও রপ্তানি থেকে আয়ের পরিমাণে কমতি।
নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এনআরবির তথ্য অনুযায়ী এই দেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তা দিয়ে মাত্র ছয় মাসের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানী করা যাবে। ২০২১ সালে জুলাইয়ের মাঝামাঝি নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ১১.৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমে গিয়ে তা পৌঁছায় ৯.৭৫ বিলিয়ন ডলারে। গত সপ্তাহে নেপালের দেউবা সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাকার জোটের শরিকরা অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র : প্রথম কলকাতা


এ জাতীয় আরো খবর