রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার

  • সুপ্রভাত মিশিগান ডেস্ক :
image

কলকাতা, ১৪ মে : দেশ থেকে হাজার কোটি টাকার বেশি পাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দারা। বহুল আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক-এমডি ছিলেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (১৪ মে) দুপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গণমাধ্যমকে জানায়, তারা ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি। এই ৩ জনের মধ্যে রয়েছেন, প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদার। স্বপন মিত্র নামে তাদের আরেক সহযোগীর বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়। তাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করে গোয়েন্দা বাহিনী।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়েছে ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। তারা কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পিকে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী ছিলেন সুকুমার মৃধা। পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুকুমার মৃধাকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে। দুদক তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুকুমার মৃধার বিশাল বিলাসী বাড়ির সন্ধান পেয়েছে ভারতের ইডি। এদিন সন্ধান মেলে পিকে হালদারের প্রধান সহযোগী সুকুমার মৃধার পাচারকৃত অর্থেরও। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি জানায়, মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সুকুমারের বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি পেয়েছেন তারা। সেখানে পিকে-মৃধা মিলে কিনেছেন বেশ কিছু বাগানবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃধাকে তারা মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক পিকে হালদার। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মুদ্রা পাচার ও ১২৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় পলাতক আসামি তিনি। পাচার করা অর্থে ভারতে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
এর আগে পিকে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন বাংলাদেশের উচ্চ আদালত। এ তালিকায় সুকুমার ও তার মেয়ে অনিন্দিতাও ছিলেন। পরে এ দুজনসহ ৬২ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করে দুদক।


এ জাতীয় আরো খবর